জমে উঠেছে ঝিনাইদহের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণা। আগামী বুধবার (৮ মে) অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপ। চলছে শেষ সময়ের প্রস্তুতি।প্রথম ধাপের উপজেলা নির্বাচনে (৮ মে বুধবার) ঝিনাইদহের দুইটি উপজেলায় সরকার সমর্থক ছাড়া বিরোধী শিবিরের কোন প্রার্থী নেই। বিএনপি ও জামায়াত নির্বাচন বর্জন করলেও আওয়ামী লীগের জোটভুক্ত কোন শরীক দলও এই নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচন হয়ে উঠছে নিরুত্তাপ। তাছাড়া ব্যাক্তিত্ব সম্পন্ন কোন রাজনৈতিক নেতা এই নির্বাচনে প্রার্থী না হওয়ায় “যোগ্য প্রার্থী” সংকট দেখছেন ভোটাররা। শহর বা হাটে বাজারে প্রার্থীদের সরব উপস্থিতি ছিল না। ঢিলেঢালা প্রচারণার মধ্যেই আগামীকাল বুধবার ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
তথ্য নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় পরিচয় ও নৌকা প্রতিক না থাকলেও মুলতঃ আওয়ামী লীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। ঝিনাইদহ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রবিন নেতা জে এম রশীদুল আলম, দলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান মাসুম, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খাঁন সউদ, যুবলীগ নেতা নুর এ আলম বিপ্লব ও জেলা আ’লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এস এম আনিচুর রহমান খোকা প্রার্থী হয়েছেন।
এই নির্বাচনে জাসাদ, বাসদ, কল্যান পার্টি, জেপি, জাতীয় পার্টি ও ওয়ার্কাস পার্টিসহ আওয়ামী লীগের শরীক দলগুলো কোন প্রার্থী দেয়নি। ফলে নির্বাচনে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের প্রতিযোগিতা ক্ষিন হয়ে এসেছে। সেই সঙ্গে দলের মধ্যে এই ভোট নিয়ে ক্রমশ বিভেদ ও গ্রুপিং সৃষ্টি হচ্ছে।
ঝিনাইদহ সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম ছরওয়ার খাঁন সউদ বলেন, সরকারের শরীকরা কেন নির্বাচনে প্রার্থী দেননি তা আমার জানা নেই। তবে সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে হয়তো তারা প্রার্থী দেয়নি। তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচনে আসলে লড়াইটা প্রতিদ্বন্দিতামুলক হয়ে উঠতো। জয়ের ব্যাপারে তিনি শতভাগ আশাবাদী বলেও আ’লীগের এই প্রাবীন নেতা দাবী করেন।
ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সাবেক এমপি শফিকুল ইসলাম অপু জানান, নির্বাচন তো উন্মুক্ত, যে কেউ দাড়াতে পারে। বিরোধী বা সরকারের শরীক দল কেন এই নির্বাচনে আসেনি সেটা তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডভোকেট এম এম মজিদ বলেন, এই সরকারের আমলে সব ভোটের কদর কমে গেছে। ভোটাররা মাঠে যায় না। একতরফা ডামি নির্বাচন হয়। বলা যায় মানুষের কল্যান তো নয়ই, দেশের গনতন্ত্র ও অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্থ করাই সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য। তাই বুধবারের নির্বাচনেও ভোট সেন্টারে কেউ যাবে না বলে তার ধারণা।