প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের মৃত্যুতে ইরানের পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না বলে জানিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার দেওয়া এক বিবৃতিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় দুই নেতার প্রতি শোক ও সমবেদনা জানায়।
মন্ত্রণালয়টি বলেছে, এই দুই নেতার মৃত্যুতেও জাতীয় স্বার্থ হাসিলে ইরানের কূটনৈতিক উদ্দেশ্য এবং ইতিবাচ ও গঠনমূলক ইরানি বৈশ্বিক নীতিতে কোনো পরিবর্তন আসবে না।
ইরানি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দাবি, গত কয়েক বছর ধরে রাইসি ও আমির-আব্দুল্লাহিয়ানের নেতৃত্বে দুর্দান্ত গতিতে এগিয়ে গেছে ইরানের পররাষ্ট্র নীতি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ইরানের ভাবমূর্তি সমুন্নত করতে বেশ অবদান রেখেছেন এই দুই নেতা। বিভিন্ন দেশের সাথে ভালো সখ্য গড়তেও জোর কদমে কাজ করেছন তারা।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদোল্লাহিয়ানের মৃত্যুর খবর গতকাল সোমবার নিশ্চিত করেছে ইরানি কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মৃত্যুর ঘটনাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ও একাধিক সংঘাত চলছে। কিন্তু তাঁদের মৃত্যুতে এ অঞ্চলের পরিস্থিতি খুব বেশি পরিবর্তন হবে বলে মনে করছেন না বিশ্লেষকেরা। কারণ, দেশটির পররাষ্ট্রনীতি, যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ বিষয়গুলো দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির অধীন।
ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জাতীয় স্বার্থ রক্ষা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক সমীকরণে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে ইরানের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় দুই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে হারানো ইরানের শাসনব্যবস্থায় দুর্বলতার চিহ্ন তুলে ধরে। কিন্তু খামেনি যদি ক্ষমতার নির্ঝঞ্ঝাট রূপান্তর করেন, তবে দেশটি একটি কঠিন সময়ে স্থিতিশীলতা দেখাতে সক্ষম হবে। কিন্তু পশ্চিমা নেতারা কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখান, সেটাই এখন দেখার বিষয়।
সূত্র: টাইমস অব ইসরাইল