শৈলকুপায় দেড় দশক (১৫ বছর) পর এই প্রথম বিএনপির প্রকাশ্যে কর্মসূচী

sailkupa politics, bnp participate in upazila election 2024 after 15 years

শৈলকুপা উপজেলা শহরে ১৫ বছর পর বিএনপি প্রকাশ্যে কর্মসূচী করেছে । কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে তাদের মধ্যে উৎসবের আমেজ ছিল । নেতা-কর্মীরা ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করে, পরে নেতারা বক্তব্য রাখেন। ১৭ মে ২০২৪ তারিখে পৌর শহরের কবিরপুর ৩রাস্তার মোড় সহ সড়ক জুড়ে ছিল হাজার হাজার কর্মী- সমর্থক।

কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলছেন, ‘আমরা গত পার্লামেন্ট নির্বাচন বর্জন করেছি, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করেছি, কেন একটি উদার গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচনে যায় না। আমরা তো বিপ্লবী পার্টি নয়, বিপ্লবের মাধ্যমে ক্ষমতা দখল করতে চায় না। আমরা নির্বাচনের মাধ্যমে জনগন কে সাথে নিয়ে ক্ষমতায় যেতে চায় । কিন্তু এই সরকার বাংলাদেশে নির্বাচনের ব্যবস্থা, ভোটের ব্যবস্থা, বিচার ব্যবস্থা সবকিছু ধ্বংস করে দিয়ে, সমস্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়ে জনগনের উপর তারা জুলুম-নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে’।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে শুক্রবার সকালে ঝিনাইদহের শৈলকুপায় বিএনপির ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরন কর্মসূচীতে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী এসব কথা বলেন।

বিএনপি নেতা নিতাই রায় চৌধুরী আরো বলেন, ‘সরকার কখনো বিনা ভোটে কখনো রাতের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে । বাংলাদেশের ৯৫ ভাগ জনগন ভোট বর্জন করেছে, ৫ভাগ মানুষও ভোট কেন্দ্রে যায় না। আমরা উপজেলা নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছি, এই সরকারের অধীনে আর কোন নির্বাচন হবে না, সরকারের পতনই আমাদের একমাত্র লক্ষ’।

তিনি আরো বলেন, ‘এ সরকারের অধীনে এদেশে কোন নির্বাচন সুষ্ঠ হতে পারে না। গত সংসদ নির্বাচনে দেশের শতকরা ৫ ভাগ মানুষও ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত হয়নি। গত নির্বাচনে তারা দেশের জনগনকে হুমকি দিয়েছে ভোট কেন্দ্রে উপস্থিত না হলে বিধবা ভাতা বন্ধ করে দিব, মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা বন্ধ করে দিব’।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক এ্যাড, আসাদুজ্জামান, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাড.আব্দুল মজিদ, সাধারন সম্পাদক জাহিদুজ্জামান মনা, শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল হোসেন, সাধারন সম্পাদক হুমায়ন বাবর ফিরোজ, সহ সভাপতি উসমান আলী, শৈলকুপা পৌর বিএনপির সভাপতি আবু তালেব, সাধারন সম্পাদক সেলিম রেজা ঠান্ডু, সহ সভাপতি মিজানুর রহমান বাবলু সহ প্রায় ২হাজার নেতাকর্মী।

এদিকে কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে বিএনপির এই কর্মসূচী ঘিরে হাজার হাজার নেতা কর্মীর উপস্থিতি ঘটে। তারা লিফলেট বিতরণ কর্মসূচীতে যোগ দেয় । আগামী ২১ মে উপজলা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যে নির্বাচন বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি, নির্বাচনে শৈলকুপা বিএনপির কোন নেতা-কর্মী অংশ নেয়নি। এই উপজেলায় তৃণমূলে বিএনপির হাজার হাজার কর্মী-সমর্থক থাকলেও স্থানীয় নেতারা কোন্দল আর গ্রুপিং এ জড়িত থাকার অভিযোগ সমর্থকদের। ফলে গত দেড় দশকে তারা সংগঠিত হতে পারেনি, করতে পারেনি কোন কর্মসূচীও।

প্রসঙ্গত, ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলা ও পৌর বিএনপির আয়োজনে গত দেড় দশকের মধ্যে অর্থাৎ ১৫ বছরের মধ্যে এটাই ছিল শৈলকুপা শহরে বিএনপির প্রকাশ্যে কোন কর্মসূচী।

পুলিশ সতর্ক থাকলেও কর্মসূচীতে কোন বাঁধা দেয়নি, ক্ষমতাশীন দল আওয়ামীলীগের দিক থেকে অন্যান্য সময় নানাভাবে বাঁধাপ্রান্ত হলেও এই কর্মসূচীতে ছিল না কোন প্রতিবন্ধকতা।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here