তাহসানের মায়ের গাড়ির চালক ছিলেন আবেদ আলী

তাহসানের মায়ের গাড়ির চালক ছিলেন আবেদ আলী; Abed Ali was the driver of Tahsan's mother's car
ছবিঃ ভিডিও থেকে সংগৃহীত

জনপ্রিয় অভিনেতা ও সঙ্গীতশিল্পী তাহসান খানের মা ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম এক সময় পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন। ঠিক তখনই তার ব্যক্তিগত গাড়ির ড্রাইভার ছিলেন প্রশ্ন ফাঁসে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার সৈয়দ আবেদ আলী।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বিভিন্ন সূত্রে বিষয়টি জানা গেছে। পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ সাদিকও গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পিএসসির সাবেক চেয়ারম্যান, সুনামগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ সাদিক বলেন, ‘আমি পিএসসির চেয়ারম্যান হিসেবে যোগদানের আগে পিএসসির সদস্য ছিলাম। আমি যোগদানের আগে ওই লোকের (আবেদ আলী) চাকরি গেছে বলে শুনেছি। ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ও এটিএম আহমেদুল হক চৌধুরী যখন পিএসসি চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়ি চালক ছিলেন। ইকরাম আহমদ যখন চেয়ারম্যান ছিলেন তখন আবেদ বরখাস্ত হন। পরে তাকে চাকরিচ্যুতও করা হয়।’

জানা গেছে, প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ছিলেন দেশের অন্যতম প্রধান সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) এর জন্য নিয়োগপ্রাপ্ত অষ্টম চেয়ারম্যান। ২০০২ সালের ৯ মে তিনি পিএসসি চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব লাভ করেন এবং ২০০৭ সালের ৭ মে পর্যন্ত এ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।

১৯৯৭ সালের দিকে রাজধানী ঢাকার ইন্দিরা রোডের পশ্চিম রাজাবাজার এলাকার একটি ব্যাচেলর মেসে থাকতেন আবেদ আলী। ওই মেসেই আবেদ আলীর পরিচয় হয় সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর এলাকার শাহিন নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। শাহিনের মামা মেজবাহ চাকরি করতেন সচিবালয়ে। শাহিনের মাধ্যমেই পিএসসিতে গাড়িচালক হিসেবে চাকরি হয় তার।

প্রফেসর ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম যখন পিএসসির চেয়ারম্যান ছিলেন, ততদিনে সৈয়দ আবেদ আলী প্রমোশন লাভ করে পিএসসির চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত গাড়িচালক হন। সে সময় থেকেই মূলত সৈয়দ আবেদ আলী প্রশ্ন ফাঁস চক্রে জড়িয়ে পড়েন। এরপর দীর্ঘসময় ধরে তিনি একটি চক্রের সঙ্গে প্রশ্ন ফাঁস করে আসছিলেন। তবে, ওই সময়ে তিনি ধরাছোঁয়ার বাইরেই ছিলেন।

নন-ক্যাডারের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পিএসসির চাকরি থেকে ২০১৪ সালে তাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

পিএসসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নন-ক্যাডারে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের ‘সহকারী মেইনটেন্যান্স ইঞ্জিনিয়ার’ পদের লিখিত পরীক্ষা ২০১৪ সালে ২২ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। সেই পরীক্ষায় এক পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে হলের বাহির থেকে অবৈধভাবে সরবরাহকৃত সংশ্লিষ্ট প্রশ্নের উত্তরসহ ৪টি লিখিত উত্তরপত্র হাতেনাতে ধরা হয়। ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ আইনের ধারায় মামলা করা হয়। ওই মামলার তদন্তে সৈয়দ আবেদ আলীর সক্রিয়ভাবে সম্পৃক্ত থাকার তথ্য-প্রমাণ মেলে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়।

প্রসঙ্গত, ড. জিনাতুন নেসা তাহমিদা বেগম ১৯৬৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান ও ১৯৬৭ সালে স্নাতক পাশ করেন এবং ১৯৭৭ সালে লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।

Google search engine

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here